GBP/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ

বুধবার GBP/USD কারন্সি পেয়ারের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে, টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ অনুযায়ী ইউরো এবং পাউন্ডের প্রায় একই রকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধান পার্থক্য হলো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনও সেনকৌ স্প্যান বি লাইন ব্রেক করতে সক্ষম হয়নি। ইচিমোকু সূচক অনুযায়ী, এখনও পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। আজ বা আগামীকাল ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই দরপতন পুনরায় শুরু হতে পারে, কারণ আমরা এখনও কোনো দৃঢ় কারণ দেখতে পাচ্ছি না যা ডলারের বিপরীতে এই দুটি মুদ্রাকে শক্তিশালী করতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগামী সপ্তাহের শুরুতেই তাদের মূল সুদের হার সক্রিয়ভাবে হ্রাস করতে পারে। এছাড়া, "ট্রাম্প ফ্যাক্টর" ডলারের জন্য স্বাভাবিকভাবে নেতিবাচক নাও হতে পারে। প্রশ্ন হলো, সবাই কেন মনে করছে যে শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক? মনে হচ্ছে ট্রাম্প দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত করার জন্যই এই শুল্ক প্রবর্তন করতে চান।

সম্প্রতি, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের 250 পিপস কারেকশন করেছে, তবে এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দৈনিক টাইমফ্রেমে, এই ধরনের কারেকশন নগণ্য এবং চার্টে প্রায় অদৃশ্য হয়ে থাকে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে এই টাইমফ্রেম মূলত একটি কারেকশনের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে, বিশেষত প্রায় চার মাস ধরে চলমান দরপতনের পরে। সুতরাং, গতকালকে পাউন্ডের অর্ধ-দিবস ছুটি হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে; তবে, বর্তমানে নিম্নমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার কোনো সিগন্যাল নেই।

বুধবারের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো দুর্বল ছিল, এবং দিনজুড়ে পাউন্ডের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্টে পরিলক্ষিত হয়েছে, প্রায়শই মূল্য 1.2336–1.2349 রেঞ্জে ওঠানামা করছিল। দুর্ভাগ্যবশত, এই ধরনের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট মাঝে মাঝে ঘটতে পারে। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান মুভমেন্টকে কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়, ফলে এই কারেকশনের সময় 50–100 পিপস লাভের জন্য স্পষ্ট সিগন্যাল পাওয়ার আশা করা অত্যন্ত কঠিন করে। এই ধরনের মুভমেন্ট স্বাভাবিকভাবেই উল্লেখযোগ্য লাভের সুযোগ দেয় না।

COT রিপোর্ট

COT রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। রিপোর্টে লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা নির্দেশ করে, প্রায়ই একে অপরকে অতিক্রম করে এবং সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি অবস্থান করছে। বর্তমানে, এই লাইনগুলো পরস্পরের কাছাকাছি রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই পেয়ারের লং এবং শর্ট পজিশনের সংখ্যা প্রায় সমান রয়েছে।

সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, মূল্য প্রথমে 1.3154 লেভেল ব্রেক করে ট্রেন্ড লাইনের দিকে নেমে আসে এবং তারপর এটি সফলভাবে ব্রেক করে। এই ট্রেন্ড লাইনের ব্রেকের বিষয়টি পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার উচ্চ সম্ভাবনা নির্দেশ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণের সঙ্গে সম্পর্কিত।

সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 700টি বাই কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 13,300টি সেল কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে। এর ফলে, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে 12,600 কন্ট্রাক্ট হ্রাস পেয়েছে, যা পাউন্ডের জন্য নেতিবাচক।

মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, দীর্ঘমেয়াদে ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের জন্য এখনও কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। বৈশ্বিক ভিত্তিতে পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, নেট পজিশনের সংখ্যা আরও হ্রাস পেতে পারে, যা পাউন্ড স্টার্লিংয়ের চাহিদা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, সামগ্রিকভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে। সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রভাবে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে না। মাঝে মাঝে টেকনিক্যাল কারেকশনের প্রয়োজনীয়তা ছাড়া পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধিকে সমর্থন যোগাবে এমন কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এবং শক্তিশালী দরপতন দেখা যাচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনও আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য $1.1800 লেভেলের দিকে অগ্রসর হবে, যদিও বর্তমানে নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার কোনো সংকেত দেখা যাচ্ছে না।

২৩ জানুয়ারিতে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো তুলে ধরা হয়েছে: 1.2052, 1.2109, 1.2237–1.2255, 1.2349, 1.2429–1.2445, 1.2511, 1.2605–1.2620, 1.2691–1.2701, এবং 1.2796–1.2816। এছাড়াও, সেনকৌ স্প্যান বি (1.2336) এবং কিজুন-সেন (1.2258) লাইনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল প্রদান করতে পারে। মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ২০ পিপসের মুভমেন্ট প্রদর্শন পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস অর্ডার সেট করা উচিত, যাতে ভুল সিগন্যালের কারণে সম্ভাব্য লোকসান থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে এই প্রতিবেদনটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হওয়ার কারণে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে না। আমরা মার্কেটে আবারও শান্ত মুভমেন্টের আশা করছি, যা সম্ভবত ফ্ল্যাট মার্কেটে পরিণত হতে পারে।

চার্টের সূচকসমূহের বর্ণনা:

• মূল্যের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হচ্ছে গাঢ় লাল লাইন, যার কাছাকাছি মুভমেন্ট শেষ হতে পারে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল প্রদান করে না।
• কিজুন-সেন এবং সেনকৌ স্প্যান বি লাইন হল ইচিমোকু সূচকের লাইন, যা 4-ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার চার্টে সরানো হয়েছে। এগুলো শক্তিশালী লাইন।
• এক্সট্রিম লেভেল হল হালকা লাল লাইন যেখান থেকে মূল্য আগে বাউন্স করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল প্রদান করে।
• হলুদ লাইন হল ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্য কোন প্রযুক্তিগত নিদর্শন।
• COT চার্টে সূচক 1 প্রতিটি শ্রেণীর ট্রেডারদের নেট পজিশনের আকার প্রতিফলিত করে।